সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টর: ইলিশ নিধণ প্রতিরোধে অভিযান চালাতে গিয়ে পাড়ে থামানো নৌকা এবং দোকান পাট ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে। এসময় এক শিশু ও নারী ভিক্ষুক সহ ৩ জনকে পিটিয়ে আহত ও নানা বাড়িতে বেড়াতে আসা এক যুবককে আটক করেছে তারা। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নগরীর বঙ্গবন্ধু বাস্তহারা (স্টেডিয়াম) কলোনীতে এই ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশের দাবী অভিযানে বাঁধা সৃষ্টির লক্ষ্যে তীড়ে থাকা জেলেরা অভিযানকারীরে গায়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এজন্য পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতেই লাঠিচার্জ করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,আজ বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নৌ পুলিশ নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় কীর্তনখোলা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় নদীতে মাছ শিকার করতে থাকা দুটি ট্রলারকে ধাওয়া করে তারা। ট্রলার দুটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু বাস্তহারা কলোনী সংলগ্ন কীর্তনখোলা নীর তীরে নোঙর করা ১০টি নৌকা ও ট্রলারে হামলা এবং ভাংচুর করে নৌ পুলিশ সদস্যরা। এমনকি তারা তীড়ে উঠে নদীর পাড়ে থাকা ৫/৭টি দোকান ভাংচুর ও এলোপাথারী লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্থ নৌকার মাঝি কবির, বেলাল ও ছালাম সহ আরো অনেকের।
তারা বলেন, পুলিশের লাঠিচার্জে কলোনীর বাসিন্দা ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা ভিক্ষুক আকলিমা, একই এলাকার বাসিন্দা ১০ বছরের শিশু রাশেদ সহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এর মধ্যে রক্তাক্ত জখম হওয়া শিশু রাশেদকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাছাড়া ঘটনাস্থল হতে সুজন নামের অপর এক যুবককে আটক করে নৌ পুলিশ। ওই যুবক বরগুনার কালাম মৃধার ছেলে। বঙ্গবন্ধু কলোনীতে নানীর কাছে বেড়াতে আসে। দাড়িয়ে থেকে পুলিশের লাঠিচার্জের দৃশ্য প্রত্যক্ষকালে তাকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযানের নেতৃত্বেথাকা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির এর বক্তব্য জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বরিশাল সদর নৌ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। তবে বিষয়টি সম্পর্কে ততটা অবগত নই। শুনেছি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারের নেতৃত্বে কীর্তনখোলা মা ইলিশ রাক্ষায় অভিযান চলছিলো। এসময় তীড়ে থাকা জেলেরা তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাে যোগাযোগের জন্য বলেন নৌ পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
Leave a Reply